মেয়ের হবু বরকে নিয়ে পালালেন মা

মেয়ের বিয়ের প্রস্তুতি যখন প্রায় চূড়ান্ত, তখনই ঘটল নাটকীয় মোড়। ভারতের উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে এক মা পালিয়ে যান নিজের মেয়ের হবু স্বামীর সঙ্গে! বিয়ের মাত্র ১০ দিন আগে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাটি ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক মাধ্যমে, যা ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে।

৪২ বছর বয়সী ওই নারীর নাম স্বপ্না। তিনি মেয়ের বাগদত্তা রাহুল কুমারের সঙ্গে পালিয়ে যান গত ৬ এপ্রিল। বিষয়টি জানাজানি হলে উভয় পরিবারের মধ্যে শুরু হয় চরম অস্থিরতা। ক’দিন পর, গণমাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি হওয়ার পর স্বপ্না ও রাহুল দুজনেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।

আত্মসমর্পণের সময় স্বপ্না পুলিশের কাছে বলেন, “যাই হোক, আমি রাহুলকেই বিয়ে করব। আমি ওকে ভালোবাসি।” তিনি অভিযোগ করেন, স্বামী ও মেয়ে দুজনেই তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন, যার কারণে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন।

রাহুল দাবি করেছেন, স্বপ্নাই তাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেন। তার ভাষায়, “তিনি আমাকে বলেন— যদি না যাই, আত্মহত্যা করবেন। আমি ভয়ে গিয়েছিলাম। প্রথমে আমরা লখনৌ, পরে মুজফ্ফরপুরে যাই।” পরে পুলিশ অনুসন্ধান শুরু করলে তারা স্বেচ্ছায় ফিরে আসেন।

স্বপ্নার মেয়ে শিবানীর অভিযোগ, তার মা আলমারি থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা ও প্রায় ৫ লাখ টাকার গয়না নিয়ে গিয়েছেন। তবে স্বপ্না তা অস্বীকার করে বলেন, “আমার কাছে শুধু একটা মোবাইল আর ২০০ রুপি ছিল। বাকি সব মিথ্যে।”

ঘটনার পর স্বপ্নার স্বামী জিতেন্দ্র কুমার অভিযোগ করেন, স্ত্রী প্রতিদিন রাহুলের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে কথা বলতেন। অপরদিকে, স্বপ্নার দুলাভাই দিনেশ বলেন, “স্বপ্নার আর আমাদের পরিবারে জায়গা নেই। ও যা টাকা ও গয়না নিয়েছে, তা ফেরত দিলেই চলবে। ওর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”

সাংবাদিকদের প্রশ্নে রাহুল প্রথমে দ্বিধায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত বলেন, “হ্যাঁ, আমি স্বপ্নাকেই বিয়ে করব।”

এ ঘটনায় এখনো পুলিশ আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। তবে তদন্ত চলছে বলে জানা গেছে। ইচ্ছা হলে এই কাহিনীকে নিয়ে ছোট গল্প বা নাটকীয় চিত্রনাট্য হিসেবেও তৈরি করে দিতে পারি! বললেই করে দিচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *