১৩ নভেম্বর কী ঘটতে যাচ্ছে? কেন মাঠে নামছে সেনাবাহিনী

১৩ নভেম্বর—তারিখটি ঘিরে এখন গোটা দেশে তীব্র কৌতূহল ও উদ্বেগ। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ঘোষিত “লকডাউন” কর্মসূচি ঘিরে জনমনে উঠেছে নানা প্রশ্ন। অনেকে ভাবছেন, এই কর্মসূচির মধ্য দিয়েই কি দলটি রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে, নাকি এটি কেবল শক্তি পরীক্ষার একটি ধাপ?

ইতিমধ্যেই রাজধানীসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে, যারা বিচারিক ক্ষমতাসহ মাঠে রয়েছে। ১১ নভেম্বর জামায়াত নেতৃত্বাধীন ইসলামী জোটের কর্মসূচি ঘিরে পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, লকডাউন কর্মসূচির সময় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি সরকারের দৃঢ় অবস্থানকেই নির্দেশ করে। বিশেষ করে ১৩ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণার দিন হিসেবে নির্ধারিত—যার প্রেক্ষিতেই লকডাউন ডাক দিয়েছে সাবেক ক্ষমতাসীন দলটি।

গত বছরের ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বড় অংশ পলাতক বা কারাগারে। দলটি কার্যত ভেঙে পড়লেও সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট ঝটিকা মিছিল দেখা গেছে, যা নতুন করে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন যাতে কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়, সেটাই এখন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য। সাবেক ক্ষমতাসীন দল যদি এই নির্বাচন ঠেকাতে চায়, তাহলে পরিস্থিতি আবারও অস্থিতিশীল হতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।

তাদের মতে, দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার একমাত্র পথ—একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *