সম্প্রতি সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সিঙ্গাপুরের কিংস হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টার প্রচার করা হয়েছে। পোস্টারটিতে দাবি করা হয়, ২৩ মে তার মরদেহ বাংলাদেশে আনা হবে এবং তার প্রথম জানাজা নোয়াখালীতে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও পোস্টারটিতে তার মরদেহের ছবি হিসেবে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা একটি ছবিও ব্যবহার করা হয়েছে।
তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ওবায়দুল কাদেরের মারা যাওয়ার দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, ২০১৯ সালে হার্টের ব্লক নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে সে সময়ে তাকে আইসিইউর ভেন্টিলেশন সাপোর্টে নেওয়া হয়। সেই মুহূর্তে ধারণ করা ছবিকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
আলোচিত দাবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে গণমাধ্যম কিংবা আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজের পাশাপাশি অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রেও তার মারা যাওয়ার বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে আলোচিত পোস্টারটিতে ব্যবহৃত ওবায়দুল কাদেরের ছবির বিষয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে দৈনিক যুগান্তর-এর ওয়েবসাইটে ২০১৯ সালের ৩ মার্চ ‘কাদের কাদের বলে ডাকতেই চোখের পাতা নড়ে উঠল’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের সন্ধান পাওয়া যায়।
প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এতে ব্যবহৃত ওবায়দুল কাদেরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থার ছবির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টারে ব্যবহৃত তার ছবির মিল রয়েছে। উক্ত ছবির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, ছবিটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটি অর্থাৎ, বিএসএমএমইউ হাসপাতালে তার চিকিৎসাধীন অবস্থায় ধারণ করা ছবি। এছাড়াও এই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হঠাৎ অসুস্থবোধ করলে ওবায়দুল কাদেরকে বিএসএমএমইউর ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) নেয়া হয়। পরবর্তীতে এনজিওগ্রামের মাধ্যমে তার হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। যার কারণে সেসময় তাকে আইসিইউর ভেন্টিলেশন সাপোর্টে নেওয়া হয়।
সুতরাং, ওবায়দুল কাদের সিঙ্গাপুরের কিংস হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা