ভারতকে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে, এটা কোনভাবেই কম হবে না

কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। ভারতের পক্ষ থেকে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত, সীমান্ত বন্ধসহ নানা কঠোর পদক্ষেপের ঘোষণা এসেছে। তবে পাকিস্তান এসব পদক্ষেপকে গুরুত্বহীন ও “শিশুসুলভ” বলেই আখ্যা দিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (NSC) জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছে। বৈঠকে সামরিক ও বেসামরিক শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। তিনি বলেন, “ভারতকে এমন জবাব দেওয়া হবে, যা কোনোভাবেই হালকা হবে না।”

বিবিসি জানায়, ভারতশাসিত কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক আরও অবনতি হয়েছে। এই হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। ঘটনার পর ভারত শুধু পুরনো পানি চুক্তি স্থগিতই করেনি, বরং পাকিস্তানি নাগরিকদের ১ মে’র মধ্যে দেশ ছাড়ারও নির্দেশ দিয়েছে।

পাকিস্তান দাবি করছে, এই হামলা “ফলস ফ্ল্যাগ” অপারেশন— অর্থাৎ ভারতের সাজানো ঘটনা, যাতে পাকিস্তানকে দোষী প্রমাণ করা যায়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, “এই ধরনের ষড়যন্ত্র ভারতের অতীতেও ছিল, একে পুরোপুরি অস্বীকার করা যায় না।”

সিন্ধু চুক্তি প্রসঙ্গে ইসহাক দার বলেন, “এই পানি চুক্তি নিয়ে ভারতের সঙ্গে বহুদিনের জটিলতা রয়েছে। যদি ভারতের হাতে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকে, তারা তা প্রকাশ করুক।”

কাশ্মির প্রসঙ্গে পাকিস্তানের অবস্থান আগের মতোই— এটি একটি বৈধ স্বাধীনতাকামী আন্দোলন। অন্যদিকে ভারত একে পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাসবাদ বলে বর্ণনা করে। ১৯৮৯ সাল থেকে চলা এই সংঘাতে হাজার হাজার নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

পাকিস্তান বলেছে, ভারতের কূটনৈতিক সিদ্ধান্তগুলোর “প্রত্যুত্তরমূলক জবাব” তারা দেবেই— এবং এই জবাব হবে উপযুক্ত ও দৃঢ়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *