ভাতিজি থেকে বউ, এরপর এক ভয়ঙ্কর দানবে রূপান্তর

প্রেম, বিয়ে, সম্পর্ক – এসব শব্দ একসময় সুখ, বিশ্বাস আর ভরসার প্রতীক ছিল। কিন্তু সময় বদলেছে। এখন এসব শব্দের পেছনে লুকিয়ে থাকে অজানা ভয়, দুঃস্বপ্ন আর নির্মমতার গল্প। এমনই এক ভয়ংকর কাহিনি ঘটেছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার লোকেরপাড়া গ্রামে।

মোবারক হোসেন, ভালোবেসে বিয়ে করেন তাঁর ফুপাতো ভাইয়ের মেয়ে রত্না বেগমকে। সম্পর্কের শুরুটা ছিল রোমাঞ্চে ভরা, পরিবার মেনে না নেওয়ায় ঢাকায় গিয়ে শুরু করেন নতুন সংসার। কিন্তু সাত বছরের এই দাম্পত্যে প্রেম হারিয়ে যায় সন্দেহ, ঝগড়া আর মানসিক অস্থিরতার ভিড়ে।

মোবারক ঢাকায় চাকরি করতেন, রত্না থাকতেন গ্রামের বাড়িতে। দূরত্ব, সন্দেহ আর অনিরাপত্তা ধীরে ধীরে গ্রাস করে সম্পর্কটিকে। প্রতিনিয়ত কথা কাটাকাটি, ফোন কেড়ে রাখা, আত্মহত্যার হুমকি—সব মিলিয়ে এক বিষাক্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়।

বছরের পর বছর এই টানাপোড়েন চলতে থাকে। একমাত্র সন্তানকেও শান্তি দিতে পারেননি তারা। ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে ফেরার পর, পরিকল্পনা অনুযায়ী এক রাতের অন্ধকারে রত্না বেগম ব্লেড দিয়ে মোবারকের পুরুষাঙ্গ কেটে দেন। মোবারকের আর্তচিৎকারে বাড়ির লোক ছুটে এসে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ভুইয়াপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসকরা জানান, কঠিন অবস্থার মধ্যেও তিনি আপাতত আশঙ্কামুক্ত।

ঘটনার পর রত্না নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে জানান, সেসময় তাঁর ভালো-মন্দের জ্ঞান ছিল না, মানসিকভাবে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছিলেন। পরিবারের কেউ কেউ বিষয়টি সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করতে চাইলেও মোবারকের পরিবার আইনের কঠোর শাস্তি দাবি করেছে।

এই ঘটনার পর শুধু একটা প্রশ্ন থেকে যায়—সম্পর্ক কি আজকাল ভালোবাসার জায়গা, নাকি প্রতিশোধের এক নির্মম মঞ্চ?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *