দেশে পেট্রলের সঙ্গে কেরোসিন মিশিয়ে ভেজাল জ্বালানি বিক্রির প্রবণতা রোধে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এই উদ্দেশ্যে কেরোসিনের দাম এক লাফে লিটারপ্রতি ১৩ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ একটি সংশোধিত নির্দেশিকা জারি করে জানায়, জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ নীতিমালায় কেরোসিনের জন্য নতুন একটি মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি যুক্ত করা হয়েছে।
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়, দেশের শতভাগ বিদ্যুতায়ন, সহজলভ্য চার্জার লাইট, এলপিজি গ্যাসের ব্যবহার বৃদ্ধি ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ফলে কেরোসিনের ব্যবহার ও বিক্রি উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। অথচ কেরোসিনের বর্তমান মূল্য পেট্রলের তুলনায় ১৩ টাকা এবং অকটেনের তুলনায় ২১ টাকা কম হওয়ায় এই তেলে ভেজাল মিশিয়ে বেশি লাভে বিক্রির সুযোগ তৈরি হয়।
এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, কেরোসিনের দাম পেট্রলের থেকে লিটারপ্রতি মাত্র ৪ টাকা কম রাখা হবে। এর ফলে নতুন করে কেরোসিনের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে লিটারপ্রতি ১১৭ টাকা, যা আগে ছিল ১০৪ টাকা। অর্থাৎ এক ধাক্কায় বেড়েছে ১৩ টাকা।
উল্লেখ্য, আগের নীতিমালায় বলা ছিল ডিজেলের সঙ্গে কেরোসিনের দাম সমান রাখতে হবে। তবে বর্তমানে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম সমন্বয় করা হয় আন্তর্জাতিক বাজারের ভিত্তিতে, প্রতি মাসে একবার।
বর্তমানে সরকার নির্ধারিত দাম অনুযায়ী অকটেন বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা এবং পেট্রল ১২১ টাকায়। সেই তুলনায় কেরোসিনের নতুন মূল্যবৃদ্ধি বাজারে নতুন সমীকরণ তৈরি করেছে।