ঢাকার উত্তরা এলাকায় প্রকাশ্যে এক যুবককে সড়ক থেকে প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাতেই ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী নোমান আহমেদ নাফিজ।
ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, কালো মাস্ক পরা এক যুবককে ধাক্কা দিয়ে একটি সাদা প্রাইভেট কারে তুলছেন তিন ব্যক্তি। তিন ব্যক্তির মধ্যে দুজনের পরনে জিন্স প্যান্ট ও টি-শার্ট। আরেকজনের পরনে গ্যাবার্ডিন প্যান্ট ও ফুলহাতা জামা। নোমান সমকালকে জানান, শুক্রবার দুপুর ২টা ৫০মিনিটে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের বিপরীত পাশের সড়ক থেকে এক যুবককে জবরদস্তি করে তুলে নিয়ে যেতে দেখেন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে ওই ঘটনা তিনি মোবাইল ফোনে ভিডিও করেন এবং পরে ফেসবুকে আপলোড করেন।
তিনি বলেন, তিনজন ব্যক্তি যখন ওই যুবককে ধাক্কা দিয়ে প্রাইভেটকারে তুলছিলেন তখন আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তাদের ওপরও চড়াও হন ওই ব্যক্তিরা। এরপর গাড়িটি বিমানবন্দরের দিকে দ্রুত চলে যায়। তিনি গোপনে ঘটনার ভিডিও করেছেন।
তিনি আরও বলেন, মোবাইলে ভিডিও ধারণ করার পর তিনি স্থানীয় থানায় যান। কিন্তু পুলিশের সহায়তা পাননি। পুলিশ তার কাছ থেকে ঘটনা শুনে নাম ও মোবাইল নম্বর লিখে নেয়।
ঘটনাস্থলটি উত্তরা পূর্ব থানার আওতাধীন।
থানার ওসি শামীম আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ভিডিওটি দেখেছি। তবে যাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে এবং যারা তাকে নিয়ে যাচ্ছে তাদের বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। এ ছাড়া তুলে নিয়ে যাওয়া যুবকের স্বজনরা কেউ অভিযোগ করেননি। যে কারণে তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এ নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। এ প্রসঙ্গে শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মহিদুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাটি শুক্রবারের (১৮ এপ্রিল)। এ বিষয়ে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের গোয়েন্দা টিম, থানা পুলিশসহ আমরা সবাই কাজ করছি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছি। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল (১৮ এপ্রিল) বেলা ২টা ৫০ মিনিটের দিকে। তবে অবাক হওয়ার বিষয়-এত সময় পার হওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ কিংবা আমাদের কারও কাছে এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ আসেনি। এ কারণে আমরাও বিপাকে পড়েছি। বিষয়টি উদঘাটনে আমাদের সব টিম কাজ করছে।
ডিসি বলেন, আমরা ওই ঘটনার তিনটি সিসিটিভি ফুটেজের ভিডিও ক্লিপ বিশ্লেষণ করে দেখছি। সেখানে রাস্তার পাশেই একসঙ্গে চার ব্যক্তি ছিলেন। ওনাদের মধ্যে একজনকে তারা গাড়িতে টেনে ওঠাচ্ছেন। এ সময় বাকি তিন জনের কেউই কোনও প্রতিবাদ করেননি। যিনি ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন, উনিও কোথা থেকে পেলেন আমরা সবকিছুই জানার চেষ্টা করছি।