চট্টগ্রামে র্যাবের কার্যালয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পলাশ সাহা আত্মহত্যা করেছেন। তার মৃত্যু ও পারিবারিক জীবন নিয়ে এর মধ্যেই চলছে নানা গুঞ্জন। পলাশের স্ত্রী ভাবী একটি বেসরকারি গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে বলেছেন বিভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ৩-৪ দিন আগে পলাশের সাথে কথা হয়েছিল, পলাশ তার স্ত্রীকে বলেছিল আমার মা’তো তোমাকে দেখতে পারে না, আমি তোমাকে ডিভোর্স দিয়ে যদি সব খরচ দেই, তুমি তোমার বাবার বাড়িতেই থাকো। আমি তোমার সব খরচ দিব। এই কথা ৩-৪ দিন আগেও হইছে পলাশ ও তার স্ত্রীর সাথে। পলাশের স্ত্রী এগুলো নিয়ে কান্নাকাটি করতেছিল।
পলাশ তার অফিসেও নাকি একজন কে জানিয়েছিল এই সমস্যার কথা। বাচ্চাকাচ্চা নেয়ার ব্যাপারে কথা হইছে, তখন অফিসে একজনকে বলছিলো আমি অনেক বাচ্চাকাচ্চা পছন্দ করি, কিন্ত আমি তো আমার মায়ের জন্য নিতে পারতেছি না, আমার মা চায় আমি আমার বউকে ডিভোর্স দিয়ে দেই। পলাশ নিজেও তার স্ত্রী’কে বলেছিল, আমার মা যেমন করতেছে তুমি এখানে টিকতে পারবা না। তুমি বাড়ি চলে যাও, আমি তোমার সব খরচ দিব।
কয়দিন আগে, পলাশ বের হবার আগে স্ত্রী সুস্মিতা’কে টাটা দিয়েছিল। এটা এটা তার মা দেখার পর থেকেই বলে কেন টাটা দিল। এই নিয়ে ঝামেলা করে। তার ৩দিন আগে সুস্মিতা বাড়িতে ফোন করে রান্নার উপকরণ জেনে ডাল রান্না করে, যেটা শ্বশুর বাড়িতে খেয়ে পলাশ খুব পছন্দ করেছিল। পলাশের স্ত্রী সেই ডাল রান্নার পর পলাশ খেয়ে বলে, ডাল অনেক মজা হইছে। বলার সাথে সাথেই পলাশের মা সেই ডাল জানালা দিয়ে ফেলে দেয়। পলাশের মা বলে, আমি কি রান্না করতে পারি না! এই বলে ফেলে দিছে।
সূত্র: জনকণ্ঠ