সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সুখবর দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে যুক্ত প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থীদের ভাতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো হয়েছে। অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণার্থীদের ভাতা দ্বিগুণ করা হয়েছে, একই সঙ্গে প্রশিক্ষকদের সম্মানীও বাড়ানো হয়েছে এক হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত।
বুধবার (৫ নভেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে বিষয়ভিত্তিক অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণের সম্মানী ও প্রশিক্ষণ ভাতার হার পুনর্নির্ধারণ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, তৃতীয় গ্রেড বা যুগ্মসচিব এবং তদূর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রতি ঘণ্টার সেশনে এখন থেকে প্রশিক্ষক হিসেবে পাবেন তিন হাজার ৬০০ টাকা। এর আগে ২০১৯ সালের মে মাসে এ হার নির্ধারণ করা হয়েছিল আড়াই হাজার টাকা। প্রায় পাঁচ বছর পর সম্মানী বাড়লো এক হাজার ১০০ টাকা।
চতুর্থ ও পঞ্চম গ্রেড বা উপসচিব এবং তদনিম্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রতি ঘণ্টার সেশনে প্রশিক্ষক সম্মানী পাবেন তিন হাজার টাকা, যা আগে ছিল দুই হাজার টাকা।
অন্যদিকে, প্রশিক্ষণার্থীদের জন্যও ভাতা দ্বিগুণ করা হয়েছে। আগে গ্রেড-৯ এবং তদূর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রতিদিন পেতেন ৬০০ টাকা; এখন সেটি বাড়িয়ে এক হাজার ২০০ টাকা করা হয়েছে। গ্রেড-১০ এবং তার নিম্ন পর্যায়ের কর্মচারীদের ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, কোর্স পরিচালকের প্রতিদিনের সম্মানী ১,৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২,০০০ টাকা, কোর্স সমন্বয়কের সম্মানী ১,২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১,৫০০ টাকা এবং সাপোর্ট স্টাফদের সম্মানী ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১,০০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে এই ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে কিছু শর্তও নির্ধারণ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে রয়েছে—এটি কেবল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও দপ্তর কর্তৃক নিজস্ব কর্মচারীদের জন্য আয়োজিত বিষয়ভিত্তিক অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণে প্রযোজ্য হবে। সদর দপ্তর থেকে আয়োজিত মাঠ পর্যায়ের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে এ স্মারক কার্যকর হবে না।
এ ছাড়া প্রশিক্ষণ যদি পূর্ণদিবসব্যাপী না হয়, তাহলে দুপুরের খাবারের জন্য কোনো অর্থ ব্যয় করা যাবে না। প্রকল্পভিত্তিক প্রশিক্ষণেও এই নতুন হার প্রযোজ্য নয়। গ্রেড বলতে মূল বা ‘সাবস্ট্যানটিভ’ গ্রেডকে বোঝানো হবে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, নতুন এ হার আদেশ জারির তারিখ থেকেই কার্যকর হবে। এর ফলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আরও উৎসাহব্যঞ্জক ও ফলপ্রসূ হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।



