বাবার পরকীয়ার বলি শিশু তাকবির, লুকিয়ে আছে এক ভয়ঙ্কর চরিত্র

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উত্তাপ ছড়ানো শান্তা ইসলামরে রুপের আড়ালে লুকিয়ে আছে এক ভয়ঙ্কর চরিত্র। দেশ টিভির অনুসন্ধান বলছে, পরোকীয়া আর একের পর এক হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা এই শান্তা ইসলাম।

কদিন আগে সারে তিন বছরের শিশু তাকবিরকে পিটিয়ে মাথার খুলি আলাদা করে ফেলে সে। নিউরো সাইন্সের আইসিইউতে টানা ৬ দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে হেরে যায় তাকবির। ৬ এপ্রিল নিভে যায় তার প্রাণ প্রদিপ। শিশু তাকবিরের ওপর এমন বর্বরতা হয়েছে সাভারের ভাকুর্তার মোগড়কান্দা এলাকার একটি বাড়িতে। স্থানীয়রা জানায়, বছর তিনেক আগে শান্তার সঙ্গে তাকবিরের বাবা মাহমুদুল হাসান মুকুল জরিয়ে পরেন পরোকিয়ায়। শুরু হয় পারিবারিক কলোহ, মানুষিক নির্যাতন সইতে না পেরে আত্মহত্যা করে তাকবিরের মা নিপা আক্তার।

এর পর শান্তা তার স্বামীকে ছেড়ে সংসার শুরু করে তাকবিরের বাবা মুকুলের সাথে। তবে সেখানে শিশু তাকবিরকে সজ্য করতে পারতোনা শান্তা। কারনে অকারনে তাকবিরের উপর চালাতে থাকেন অমানুষিক নির্যাতন। চিকিৎসক বলছেন, ভারী কোনো বস্তুর আঘাতে তাকবিরের ব্রেনে রক্ত জমাট বেধেছিল।

বোন আর ভাগিনা হত্যার বিচার চেয়ে আদালাতে মামলা করেছে তাকবিরের মামা নাজমুল। তবে বেপরোয়া শান্তা ইসলাম আদালতেই হামলা চালায় নাজমুলের ওপর। এখন তার মনে একটাই প্রশ্ন, বোন আর ভাগিনা হত্যার বিচারকি আদো মিলবে। বিষয়টি নিয়ে সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর কবির বলেন, পিটিয়ে আহত করার মামলাটি হত্যা মামলার রূপান্তর করার আবেদন করা হবে। তাকবিরের মা নিপা আক্তারের আত্মহত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত করেছে পিবিআই। সেখানে শান্তার পরোকীয়া আর আত্মহত্যার প্ররোচনার বিষটি প্রমাণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *